182
Mecca
The name is derived from the word was saaffat with which the Surah begins.
The subject matter and the style show that this Surah probably was sent down in the middle of the Makkan period, or perhaps in the last stage of the middle Makkan period. The style clearly indicates that antagonism is raging strong in the background and the Holy Prophet and his Companions are passing through very difficult and discouraging circumstances.
37:114
وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَىٰ مُوسَىٰ وَهَـٰرُونَ ١١٤
And We did certainly confer favor upon Moses and Aaron.
— Saheeh International
আমি অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারূনের উপর।
— Sheikh Mujibur Rahman
37:115
وَنَجَّيْنَـٰهُمَا وَقَوْمَهُمَا مِنَ ٱلْكَرْبِ ٱلْعَظِيمِ ١١٥
And We saved them and their people from the great affliction,
— Saheeh International
এবং তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়কে আমি উদ্ধার করেছিলাম মহা সংকট হতে।
— Sheikh Mujibur Rahman
37:116
وَنَصَرْنَـٰهُمْ فَكَانُوا۟ هُمُ ٱلْغَـٰلِبِينَ ١١٦
And We supported them so it was they who overcame.
— Saheeh International
আমি সাহায্য করেছিলাম তাদেরকে, ফলে তারা হয়েছিল বিজয়ী।
— Sheikh Mujibur Rahman
37:117
وَءَاتَيْنَـٰهُمَا ٱلْكِتَـٰبَ ٱلْمُسْتَبِينَ ١١٧
And We gave them the explicit Scripture [i.e., the Torah],
— Saheeh International
আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব।
— Sheikh Mujibur Rahman
37:118
وَهَدَيْنَـٰهُمَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلْمُسْتَقِيمَ ١١٨
And We guided them on the straight path.
— Saheeh International
এবং তাদেরকে আমি পরিচালিত করেছিলাম সরল পথে।
— Sheikh Mujibur Rahman
37:119
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِمَا فِى ٱلْـَٔاخِرِينَ ١١٩
And We left for them [favorable mention] among later generations:
— Saheeh International
আমি তাদের উভয়কে পরবর্তীতে স্মরণে রেখেছি।
— Sheikh Mujibur Rahman
37:120
سَلَـٰمٌ عَلَىٰ مُوسَىٰ وَهَـٰرُونَ ١٢٠
"Peace upon Moses and Aaron."
— Saheeh International
মূসা ও হারূনের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
— Sheikh Mujibur Rahman
37:121
إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْمُحْسِنِينَ ١٢١
Indeed, We thus reward the doers of good.
— Saheeh International
এভাবে আমি সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
— Sheikh Mujibur Rahman
37:122
إِنَّهُمَا مِنْ عِبَادِنَا ٱلْمُؤْمِنِينَ ١٢٢
Indeed, they were of Our believing servants.
— Saheeh International
তারা উভয়েই ছিল আমার মু’মিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত ।
— Sheikh Mujibur Rahman
Allah tells us how He blessed Musa and Harun with prophethood and how He saved them, along with those who believed, from the oppression of Fir`awn and his people, who had persecuted them by killing their sons and sparing their women, and by forcing them to do the most menial tasks, then ultimately He caused them to prevail over them and to seize their lands and their wealth and all that they had spent their entire lives amassing. Then Allah revealed to Musa the Clear and Mighty Book, which is the Tawrah, as Allah says:
وَلَقَدْ ءَاتَيْنَا مُوسَى وَهَـرُونَ الْفُرْقَانَ وَضِيَآءً
(And indeed We granted to Musa and Harun the criterion (of right and wrong), and a shining light) (21:48). And Allah says here:
وَءَاتَيْنَـهُمَا الْكِتَـبَ الْمُسْتَبِينَ - وَهَدَيْنَـهُمَا الصِّرَطَ الْمُسْتَقِيمَ
(And We gave them the clear Scripture; and guided them to the right path.) meaning, with regard to words and deeds.
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِمَا فِى الاٌّخِرِينَ
(And We left for them among the later generations.) means, that after they died they would be mentioned in good terms and spoken of highly. Then Allah explain this further:
سَلَـمٌ عَلَى مُوسَى وَهَـرُونَ إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِى الْمُحْسِنِينَ إِنَّهُمَا مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
(Salam (peace!) be upon Musa and Harun! Verily, thus do We reward the doers of good. Verily, they were two of Our believing servants.)
وَإِنَّ إِلْيَاسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ - إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَلاَ تَتَّقُونَ - أَتَدْعُونَ بَعْلاً وَتَذَرُونَ أَحْسَنَ الْخَـلِقِينَ - اللَّهَ رَبَّكُمْ وَرَبَّ ءَابَآئِكُمُ الاٌّوَّلِينَ - فَكَذَّبُوهُ فَإِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ إِلاَّ عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
এখানে মহামহিমান্বিত আল্লাহ হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত হারূন (আঃ)-এর প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন তার বর্ণনা দিচ্ছেন এবং তাঁদেরকে ও যেসব লোক তাঁদের সাথে ঈমান এনেছিল তাদেরকে ফিরাউনের ন্যায় শক্তিশালী শত্রুর কবল হতে মুক্তি দেয়ার কথা বর্ণনা করেছেন। সে তাদেরকে জঘন্যভাবে অবনমিত করতো এবং তাদের পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা করতো ও কন্যা সন্তানদেরকে জীবিত রাখতো। ফিরাউন তাদের দ্বারা নিকৃষ্ট ও নিম্ন পর্যায়ের সেবা গ্রহণ করতো। এরূপ নিকৃষ্টতম শত্রুকে আল্লাহ তাদের চোখের সামনে ধ্বংস করে দেন এবং হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত হারূন (আঃ)-এর কওমকে বিজয় দান করেন। ফিরাউন ও তার লোকদের ভূসম্পত্তি ও ধন-দৌলতের মালিক তাদেরকে বানিয়ে দেন যেগুলো তারা যুগ যুগ ধরে জমা করে রেখেছিল।অতঃপর মহান আল্লাহ হযরত মূসা (আঃ)-কে অতি স্পষ্ট, সত্য ও প্রকাশ্য মহাগ্রন্থ তাওরাত দান করেন। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি মূসা (আঃ) ও হারূন (আঃ)-কে হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী কিতাব (তাওরাত) দান করেছিলাম, যা ছিল হিদায়াত ও জ্যোতি স্বরূপ।”(২১:৪৮)।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আমি উভয়কে দিয়েছিলাম বিশদ কিতাব এবং তাদেরকে পরিচালিত করেছিলাম সরল পথে অর্থাৎ কথায় ও কাজে। আর আমি তাদের উভয়কে পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। অর্থাৎ তাদের পরবর্তী লোকেরা তাঁদের প্রশংসা ও গুণকীর্তন করতে থাকবে। এর ব্যাখ্যায় মহান আল্লাহ বলেনঃ সবাই তাদের উপর সালাম বর্ষণ করে থাকে।এরপর আল্লাহ পাক বলেনঃ এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরক পুরস্কৃত করে থাকি। তারা উভয়েই ছিল আমার মুমিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
يَا بَنِي آدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ.
‘হে আদম সন্ততানগণ! প্রত্যেক ছালাতের সময় সুন্দর পোশাক-পরিচ্ছদ গ্রহণ কর, আর খাও এবং পান কর (তবে পরিচ্ছদ ও পানাহারে) অপব্যয় করবে না, কেননা, আল্লাহ অপব্যয়কারীদের ভালবসেন না (আ‘রাফ ৩১)।
عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِيْ سَلَمَةَ قَالَ: كُنْتُ غُلَامًا فِي حِجْرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَتْ يَدِي تَطِيشُ فِي الصَّفْحَةِ. فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : سَمِّ اللهَ وَكُلْ يَمِيْنَكَ وَكُلْ مِمَّا يَلِيْكَ.
ওমর ইবনু আবু সালামা (রাঃ) বলেন, আমি একজন বালক হিসাবে রাসূল (ছাঃ) এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। আমার হাত খাওয়ার পাত্রের চতুর্দিকে যাচ্ছিল। তখন রাসূল (ছাঃ) আমাকে বললেন, ‘বিসমিল্লাহ বল, ডান হাতে খাও এবং নিজের সম্মুখ হ’তে খাও’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪১৫৯)।
عَن أبي جُحَيْفَة قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسلم: لاَ آكُلُ مُتَّكِئًا.
আবু জোহায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী বলেছেনঃ আমি হেলান দিয়ে খাই না। (হেলান দিয়ে খাওয়া অহংকারীদের আচরণ, তাই নবী (ছাঃ) ইহা পছন্দ করতেন না (বুখারী, মিশকাত হা/৪১৬৮)।
عَن قَتَادَة عَنْ أَنَسٍ قَالَ: مَا أَكَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى خِوَانٍ وَلَا فِي سُكُرَّجَةٍ وَلَا خُبِزَ لَهُ مُرَقَّقٌ قِيلَ لِقَتَادَةَ: على مَ يَأْكُلُون؟ قَالَ: على السّفر.
কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, আনাস (রাঃ) বলেছেন, নবী (ছাঃ) কখনও টেবিলে রেখে আহার করেন নাই এবং ছোট ছোট পেয়ালাবিশিষ্ট খাঞ্চায়ও খানা খান নাই। আর তার জন্য কখনও চাপাতি রুটিও তৈয়ার করা হয় নাই। কাতাদাহকে জিজ্ঞাসা করা হল, তবে তারা কিভাবে খাইতেন? তিনি বললেন, সাধারণ দসত্মরখান বিছাইয়া আহার করতেন (বুখারী, মিশকাত হা/৪১৬৯)।
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ مَا عَابَ رَسُوْلُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طُعَامًا قَطُّ اِنِ اشْتَهَاهُ اَكَلَهُ وَاِنْ كَرِهَهُ تَرَكَهُ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) কখনও কোন খাদ্যের দোষ প্রকাশ করেননি। অবশ্য মনে চাইলে খেতেন এবং অপছন্দ হ’লে পরিত্যাগ করতেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪১৭২)।
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّ الْحَلْوَاء وَالْعَسَل.
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মিষ্টি ও মধু পছন্দ করতেন (বুখারী, মিশকাত হা/৪১৮২)।
عَنْ جَابِرٌ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَ أَهْلَهُ الْأُدْمَ. فَقَالُوا: مَا عِنْدَنَا إِلَّا خَلٌّ فَدَعَا بِهِ فَجَعَلَ يَأْكُلُ بِهِ وَيَقُولُ: «نِعْمَ الْإِدَامُ الْخَلُّ نِعْمَ الْإِدَامُ الْخَلُّ».
জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা নবী (ছাঃ) নিজ গৃহে তরকারি চাহিলেন, তারা বললেন, আমাদের কাছে সিরকা ব্যতীত আর কিছুই নাই। তখন তিনি তা চাহিয়া লইলেন এবং তা দ্বারা রুটি খাইতে লাগলেন, আর বললেন, সিরকা উত্তম তরকারি, সিরকা উত্তম তরকারি (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪১৮৩)।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَعْفَرٍ قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ الرُّطَبَ بِالْقِثَّاءِ.
আবদুল্লাহ ইবনু জা‘ফর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ) কাকড়ীর সাথে তাজা খেজুর খেতে দেকিয়াছি (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪১৮৫)।
عَن سعدٍ قَالَ: سمعتُ رسولَ الله يَقُولُ: مَنْ تَصَبَّحَ بِسَبْعِ تَمَرَاتٍ عَجْوَةٍ لَمْ يَضُرَّهُ ذَلِكَ الْيَوْمَ سَمٌّ وَلاَ سِحْرٌ.
সা‘দ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ভোরে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সে দিন কোন বিষ ও জাদুটোনা তার ক্ষতি করতে পারবে না (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪১৯০)।
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ فِي عَجْوَةِ الْعَالِيَةِ شِفَاءً وَإِنَّهَا تِرْيَاقٌ أَوَّلَ البكرة».
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, মদীনার উচ্চভূমির আজওয়া খেজুরের মধ্যে রোগের নিরাময় রয়েছে। আর প্রাতঃ ভোরে তা (খাওয়া) বিষের প্রতিষেধখ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪১৯১)।
عَنْ جَابِرٌ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلًا فَلْيَعْتَزِلْنَا» أَوْ قَالَ: «فَلْيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا أَوْ لِيَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ» . وَإِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِقِدْرٍ فِيهِ خَضِرَاتٌ مِنْ بُقُولٍ فَوَجَدَ لَهَا رِيحًا فَقَالَ: «قَرِّبُوهَا» إِلَى بَعْضِ أَصْحَابِهِ وَقَالَ: «كُلْ فَإِنِّي أُنَاجِي مَنْ لَا تُناجي»
জাবের (রাঃ) বলেন, নবী (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রসুন কিংবা পিয়াজ খায়, সে যেন আমাদের নিকট হতে সরিয়া থাকে। অথবা বলেছেন, সে যেন আমাদের মসজিদ হতে দূরে থাকে অথবা নিজ বাড়ী-ঘরে বসে থাকে। এক সময় নবী (ছাঃ) খেদমতে একটি তরকারির পাতিল আনা হল। তিনি তাতে এক ধরনের গন্ধ অনুভব করলেন, তখন তা (হতে নিজে না খাইয়া উপস্থিত) একজন সাহাবীর সম্মুখে এগিয়ে দিতে বললেন এবং সেই সাহাবীকে বললেন, তুমি খাইতে পার। কারণ, আমাকে যার সাথে গোপনে কথা বলতে হয়, তোমাকে তার সাথে কথা বলতে হয় না (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪১৯৭)।
عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كِيلُوا طَعَامَكُمْ يُبَارَكْ لَكُمْ فِيهِ.
মিকদাম ইবনে মা‘দীকারীব (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের খাদ্যদ্রব্যকে মেপে নেও। এতে তোমাদের জন্য বরকত দেওয়া হবে’ (বুখারী, মিশকাত হা/ ৪১৯৮)।
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَفَعَ مَائِدَتَهُ قَالَ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ غَيْرَ مَكْفِيٍّ وَلَا مُوَدَّعٍ وَلَا مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبُّنَا».
আবু উমামা (রাঃ) বলেন, নবী (ছাঃ) সম্মুখ হতে যখন দসত্মরখান উঠান হতে, তখন তিনি এই দো‘আ পড়িতেন, অর্থ, পাক-পবিত্র, বরকতময়, অনেক অনেক প্রশংসা আল্লাহর জন্য। হে পরওয়ারদেগার! তোমার নেয়ামত হতে মুখ ফিরান যায় না, আর তারঅমেবষণন ত্যাগ করা যায় না এবং তার প্রয়োজন হতে মুক্ত থাকা যায় না (বুখারী, মিশকাত হা/৪১৯৯)।
عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْكَعْبِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ جَائِزَتُهُ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ وَالضِّيَافَةُ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ فَمَا بَعْدَ ذَلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ وَلَا يَحِلُّ لَهُ أَنْ يَثْوِيَ عِنْدَهُ حَتَّى يُحَرِّجَهُ».
আবু শুরাইহ আলকাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের ঈমান রাখে সে যেন তার অতিথির সম্মান করে। অতিথির জন্য উত্তম খানাপিনার ব্যবস্থা করা চাই এক দিন ও এক রাত। আর সাধারণভাবে আতিথেয়তা হল তিনি তিন দিন। এর পর যা করবে তা্হবে সদকা। আর মেহমানের জন্য জায়েয নয় এত সময় মেযবানের গৃহে অবস্থান করা যাতে তার কষ্ট হয় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪২৪৪)।