83
Mecca
The Surah takes its name from the two letters of the alphabet with which it begins.
A study of the style shows that it was either sent down during the last stage of the middle Makkan period, or it is one of those Surahs, which were sent down during the last stage of the Holy Prophet's stay at Makkah.
36:68
وَمَن نُّعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِى ٱلْخَلْقِ ۖ أَفَلَا يَعْقِلُونَ ٦٨
And he to whom We grant long life We reverse in creation;[1] so will they not understand?
— Saheeh International
[1]- In his physical and mental capacity.
আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি তার স্বাভাবিক গঠনে অবনতি ঘটাই। তবুও কি তারা বুঝেনা?
— Sheikh Mujibur Rahman
36:69
وَمَا عَلَّمْنَـٰهُ ٱلشِّعْرَ وَمَا يَنۢبَغِى لَهُۥٓ ۚ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌۭ وَقُرْءَانٌۭ مُّبِينٌۭ ٦٩
And We did not give him [i.e., Prophet Muḥammad (ﷺ)] knowledge of poetry, nor is it befitting for him. It is not but a message and a clear Qur’ān
— Saheeh International
আমি তাকে কাব্য রচনা করতে শিখাইনি এবং এটা তার পক্ষে শোভনীয় নয়। ইহাতো শুধু উপদেশ এবং সুস্পষ্ট কুরআন।
— Sheikh Mujibur Rahman
36:70
لِّيُنذِرَ مَن كَانَ حَيًّۭا وَيَحِقَّ ٱلْقَوْلُ عَلَى ٱلْكَـٰفِرِينَ ٧٠
To warn whoever is alive[1] and justify the word [i.e., decree] against the disbelievers.
— Saheeh International
[1]- In heart and mind, i.e., the believers.
যাতে সে সতর্ক করতে পারে জীবিতদেরকে এবং যাতে কাফিরদের বিরুদ্ধে শাস্তির কথা সত্য হতে পারে।
— Sheikh Mujibur Rahman
Allah tells us that the longer the son of Adam lives, the more he becomes weak after being strong, and incapable after being able and active
This is like the Ayah:
اللَّهُ الَّذِى خَلَقَكُمْ مِّن ضَعْفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِن بَعْدِ ضَعْفٍ قُوَّةٍ ثُمَّ جَعَلَ مِن بَعْدِ قُوَّةٍ ضَعْفاً وَشَيْبَةً يَخْلُقُ مَا يَشَآءُ وَهُوَ الْعَلِيمُ الْقَدِيرُ
(Allah is He Who created you in (a state of) weakness, then gave you strength after weakness, then after strength gave weakness and gray hair. He creates what He wills. And it is He Who is the All-Knowing, the All-Powerful.) (30:54). And Allah says:
وَمِنكُمْ مَّن يُرَدُّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْلاَ يَعْلَمَ مِن بَعْدِ عِلْمٍ شَيْئاً
(And among you there is he who is brought back to the miserable old age, so that he knows nothing after having known) (22:5). The meaning here -- and Allah knows best -- is that Allah is telling us that this world is transient and will come to an end, it is not eternal and lasting. Allah says:
أَفَلاَ يَعْقِلُونَ
(Will they not then understand) meaning, will they not think about how they were created, then they become gray-haired, then they become old and senile, so that they may know that they were created for another world that is not transient and will not pass away, and from which there is no way out, which is the Hereafter.
Allah does not teach His Messenger Poetry
وَمَا عَلَّمْنَـهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِى لَهُ
(And We have not taught him poetry, nor is it suitable for him.) Allah tells us that He has not taught His Prophet Muhammad ﷺ poetry.
وَمَا يَنبَغِى لَهُ
(nor is it suitable for him.) means, he did not know how to compose it, he did not like it and he had no natural inclination towards it. It was narrated that he never memorized a stanza of poetry with the correct meter or rhyme -- he would transpose words or memorize it incompletely. In Ad-Dala'il, Al-Bayhaqi recorded that the Messenger of Allah ﷺ said to Al-`Abbas bin Mirdas As-Sulami, may Allah be pleased with him:
«أَنْتَ الْقَائِلُ: أَتَجْعَلُ نَهْبِي وَنَهْبَ الْعُبَيدِ بَيْنَ الْأَقْرَعِ وَعُيَيْنَة»
(You are the one who said: "Do you distribute my booty and the booty of the servants between Al-Aqra` and `Uyainah.") He said, "It is `Uyainah and Al-Aqra`." He said:
«الْكُلُّ سَوَاء»
(It is all the same.) i.e., it means the same thing. And Allah knows best. This is because Allah taught him the Qur'an, which
لاَّ يَأْتِيهِ الْبَـطِلُ مِن بَيْنِ يَدَيْهِ وَلاَ مِنْ خَلْفِهِ تَنزِيلٌ مِّنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ
(Falsehood cannot come to it from before it or behind it; sent down by the All-Wise, Worthy of all praise.) (41:42). This is not poetry, as some of the ignorant disbelievers of the Quraysh claimed; neither is it sorcery, a fabrication or a magic spell, as the misguided and ignorant people variously suggested. The Prophet was naturally disinclined to compose verse, and was forbidden to do so by Divine Law.
إِنْ هُوَ إِلاَّ ذِكْرٌ وَقُرْءَانٌ مُّبِينٌ
(This is only a Reminder and a plain Qur'an.) means, it is clear and self-explanatory to the one who ponders and comprehends its meanings, Allah says:
لِّيُنذِرَ مَن كَانَ حَيّاً
(That he or it may give warning to him who is living,) meaning, so that this plain Qur'an might warn every living person on the face of the earth. This is like the Ayat:
لاٌّنذِرَكُمْ بِهِ وَمَن بَلَغَ
(that I may therewith warn you and whomsoever it may reach) (6:19).
وَمَن يَكْفُرْ بِهِ مِنَ الاٌّحْزَابِ فَالنَّارُ مَوْعِدُهُ
(but those of the sects that reject it, the Fire will be their promised meeting place) (11:17). Those who will benefit from his warning will be those whose hearts are alive and who have enlightened insight, as Qatadah said, "Alive of heart and alive of insight." Ad-Dahhak said, "This means wise."
وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَـفِرِينَ
(and that Word may be justified against the disbelievers.) means, it is a mercy to the believers and evidence against the disbelievers.
৬৮-৭০ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহ তা'আলা ইবনে আদম সম্পর্কে খবর দিচ্ছেন যে, যেমন যেমন তাদের যৌবনে ভাটা পড়তে থাকে তেমন তেমন তাদের বার্ধক্য দর্বলতা ও শক্তিহীনতা এসে পড়ে। যেমন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আল্লাহ, তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেন দুর্বল রূপে, দুর্বলতার পর তিনি দেন শক্তি, শক্তির পর আবার দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি। করেন এবং তিনিই সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।”(৩০:৫৪) অন্য একটি আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী) অথাৎ “তোমাদের মধ্যে এমন লোক আছে যাকে খুব বেশী বয়সের দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয় (সে অতি বার্ধক্যে পদার্পণ করে), যাতে সে জ্ঞানবান হওয়ার পরে জ্ঞানহীন হয়ে পড়ে।”(২২:৫) সুতরাং আয়াতের ভাবার্থ এই যে, দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী ও স্থানান্তরের জায়গা। এ দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়। তবুও কি এ লোকগুলো এ জ্ঞান রাখে না যে, তারা নিজেদের শৈশব, যৌবন ও বার্ধক্যের উপর চিন্তা-ভাবনা করে এবং হৃদয়ঙ্গম করে যে, এই দুনিয়ার পরে আখিরাত আসবে এবং এই জীবনের পরে আবার নবজীবন লাভ করবে?এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি রাসূল (সঃ)-কে কাব্য রচনা করতে শিখাইনি এবং কাব্য রচনা তাঁর পক্ষে শোভনীয়ও নয়। কবিতার প্রতি তাঁর ভালবাসা নেই এবং কোন আকর্ষণও নেই।
এর প্রমাণ তার জীবনেই প্রকাশমান যে, তিনি কোন কবিতা পাঠ করলে তা সঠিকভাবে শেষ করতে পারতেন না এবং তাঁর পুরোপুরিভাবে তা মুখস্থ থাকতো না। হযরত শা'বী (রঃ) বলেন যে, আবদুল মুত্তালিবের বংশের প্রত্যেক নর ও নারী কবিতা বলতে পারতো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সঃ) এটা হতে বহু দূরে ছিলেন।” (এটা ইবনে আসাকির (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত হাসান বসরী (রঃ) বলেন যে, একদা রাসূলুল্লাহ (সঃ) নিম্ন লিখিত কবিতাংশটিঃ (আরবী) এইরূপে পড়েন। তখন হযরত আবু বকর (রাঃ) বলেন:“হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! কবিতাংশটি এরূপ নয়, বরং নিম্নরূপ হবেঃ (আরবী) অতঃপর হযরত আবু বকর (রাঃ) অথবা হযরত উমার (রাঃ) বলেনঃ “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর রাসূল। যেহেতু আল্লাহ তা'আলা আপনার ব্যাপারে বলেছেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি তাকে কাব্য রচনা করতে শিখাইনি এবং এটা তার পক্ষে শোভনীয় নয়।” (এটা ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)ইমাম বায়হাকী (রঃ) স্বীয় দালায়েল’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) আব্বাস ইবনে মিরদাস সালমী (রাঃ)-কে বলেনঃ “তুমিই তো (আরবী) এ কবিতাংশটি বলেছো?” উত্তরে হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস (রাঃ) বলেনঃ “এটা (আরবী)-এইরূপ হবে।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “সবই সমান।” অর্থাৎ অর্থের দিক দিয়ে দুটো একই। তার উপর আল্লাহর দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।সুহায়লী (রঃ) আল্লাহর রাসূল (সঃ)-এর এভাবে নাম আগে পাছে করার এক বিস্ময়কর কারণ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সঃ) আকরাকে পূর্বে এবং উইয়াইনাকে পরে এ জন্যেই উল্লেখ করেছেন যে, উইয়াইনা হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর খিলাফের যুগে মুরতাদ (ধর্মত্যাগী) হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আকরা ইসলামের উপর অটল ছিলেন। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।
উমুভী (রঃ) তাঁর 'মাগাযী’ গ্রন্থে লিখেছেন যে, বদরের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বদর যুদ্ধে নিহত কাফিরদের মাঝে চক্কর দিতে দিতে মুখে উচ্চারণ করছিলেনঃ (আরবী) তখন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) কবিতার পংক্তিটি পূর্ণ করতে গিয়ে বলেনঃ (আরবী) এটা কোন একজন আরবীয় কবির কবিতাংশ। এটা দিওয়ানে হামাসার মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে।মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কখনো কখনো কবি তুরফার নিম্নের পংক্তিটি পাঠ করতেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “এমন ব্যক্তি তোমার নিকট সংবাদ বহন করবে যাকে তুমি ভ্রমণ সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করনি।” এর প্রথম মিসরাটি হলোঃ (আরবী) অর্থাৎ “যামানা অতি শীঘ্র অজ্ঞাত বিষয় তোমার নিকট প্রকাশ করে দিবে।”হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয় ? “রাসূলুল্লাহ (সঃ) কবিতা বলতেন কি?” উত্তরে তিনি বলেনঃ তাঁর কবিতার প্রতি সবচেয়ে বেশী ঘৃণা ছিল। হ্যা, তবে তিনি কখনো কখনো বানু কায়েসের কবিতা পাঠ করতেন। কিন্তু তাতেও তিনি ভুল করে বসতেন। আগে পিছে হয়ে যেতো।
হযরত আবু বকর (রাঃ) তখন বলতেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! এরূপ হবে না বরং এইরূপ হবে।তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলতেনঃ “আমি কবিও নই এবং কবিতা রচনা করা আমার জন্যে শোভনীয়ও নয়।” (এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে এটাও বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কবিতা পড়তেন কি-না এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে তিনি বলেনঃ না, তবে কবি তুরফার নিম্নের কবিতাংশটি তিনি পড়তেনঃ (আরবী) কিন্তু তিনি (আরবী) এইরূপ পড়েন। তখন হযরত আবু বকর (রাঃ) বলেনঃ “এটা এই রূপ নয়।” একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “আমি কবি নই এবং কবিতা রচনা আমার জন্যে শোভনীয়ও নয়।” সহীহ হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) খন্দক খননের সময় হযরত আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাঃ)-এর কবিতা পাঠ করেছিলেন। তবে এটা স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, তিনি এ কবিতা সাহাবীদের (রাঃ) সাথে পাঠ করেছিলেন। কবিতাটি নিম্নরূপঃ (আরবী) রাসূলুল্লাহ (সঃ) শব্দটি খুব টান দিয়ে উচ্চ স্বরে পড়তেন।কবিতাটির আনুবাদঃ “কোন চিন্তা নেই, যদি আপনি না থাকতেন তবে আমরা সুপথ প্রাপ্ত হতাম না। আর সাদকাও করতাম না এবং নামাযও পড়তাম না। সুতরাং (হে আল্লাহ!) আমাদের উপর শান্তি নাযিল করুন এবং যদি আমরা শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সম্মুখীন হই তবে আমাদের পাগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে অটল ও স্থির রাখুন! এ লোকগুলোই আমাদের উপর হঠকারিতা করেছে, তবে যখন তারা ফিত্নার ইচ্ছা করে তখন আমরা তা অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করি। অনুরূপভাবে এটাও প্রমাণিত আছে যে, হুনায়েনের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (সঃ) পাঠ করেছিলেনঃ (আরবী)অর্থাৎ “আমি নবী, এটা মিথ্যা নয় এবং আমি আবদুল মুত্তালিবের সন্তান (সন্তানের সন্তান বা বংশধর)।”এ ব্যাপারে এটা স্মরণ রাখা দরকার যে, ঘটনাক্রমে এমন একটা কথা তাঁর মুখ দিয়ে বেরিয়ে পড়েছে যা কবিতার ওজনে মিলে গেছে।
কিন্তু ইচ্ছা করে তিনি কবিতা বলেননি।হযরত জুনদুব ইবনে আবদিল্লাহ (রাঃ) বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাথে একটি গুহায় ছিলাম এমতাবস্থায় তাঁর একটি অঙ্গুলী যখমী হয়। তখন তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাঃ “তুমি একটি অঙ্গুলী মাত্র এবং তুমি আল্লাহর পথে রক্তাক্ত হয়েছে।” এটাও ঘটনাক্রমে হয়েছে, ইচ্ছাপূর্বক নয়। অনুরূপভাবে (আরবী)-এর তাফসীরে একটি হাদীস আসছে, তাতে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছিলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “হে আল্লাহ! যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করেন তবে তো আমাদের পাপরাশিই ক্ষমা করবেন, অন্যথায় আপনার কোন বান্দাই তো ছোট ছোট পাপ ও পদস্থলন হতে মুক্ত ও পবিত্র নয়। সুতরাং এ সবগুলো এ আয়াতের বিপরীত নয়। কেননা, আল্লাহ তা'আলা স্বীয় রাসূল (সঃ)-কে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা কবিতা শিক্ষা নয়। বরং এটা তো শুধু এক উপদেশ এবং সুস্পষ্ট কুরআন। এর কাছে বাতিল আসতে পারে না। কুরআন কারীমের এই পবিত্র ছন্দ কবিতা হতে বহু দূরে রয়েছেন এবং এটা হতে সম্পূর্ণ রূপে পবিত্র। এমনিভাবে এ কুরআন গণক এবং যাদুকরের কথা হতেও পুরোপুরিভাবে পবিত্র। রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর স্বভাব ও প্রকৃতি এসব হতে ছিল সম্পূর্ণ নিষ্কলংক।হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে তিনি বলতে শুনেছেনঃ “আমাকে যা দেয়া হয়েছে তার কাছে আমি বিষের প্রতিষেধক পান করা, তাবীয লটকানো এবং কবিতা রচনাকরণকে মোটেই গ্রাহ্য করি না (কুরআন কারীমের কাছে এগুলো একেবারে মূল্যহীন ও তুচ্ছ)।” (এ হাদীসটি ইমাম আবু দাউদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন যে, কবিতার প্রতি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর প্রকৃতিগতভাবে ঘৃণা ছিল। দুআয় তিনি ব্যাপক অর্থবোধক কালেমা পছন্দ করতেন এবং এ ছাড়া অন্যগুলো ছেড়ে দিতেন। (এটা ইমাম আহমাদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের কারো পেট পূজে পরিপূর্ণ হওয়া তার জন্যে কবিতায় তার পেট পূর্ণ হওয়া অপেক্ষা উত্তম।” (ইমাম আবু দাউদ (রঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন)হযরত শাদ্দাদ ইবনে আউস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন:“যে ব্যক্তি ইশার নামাযের পর কবিতার একটি ছন্দ রচনা করে তার ঐ রাত্রির নামায ককূল হয় না।”তবে এখানে এটা স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, কবিতার শ্রেণী বিভাগ রয়েছে।
মুশরিকদের নিন্দে করে কবিতা রচনা করা শরীয়ত সম্মত। হযরত হাসসান ইবনে সাবিত (রাঃ), হযরত কা'ব ইবনে মালিক (রাঃ), হযরত আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাঃ) প্রমুখ বড় বড় মর্যাদাবান সাহাবীগণ মুশরিকদের নিন্দা করে কবিতা রচনা করেছেন। কতকগুলো কবিতা হয় উপদেশ, আদব ও হিকমতে পরিপূর্ণ, যেমন অজ্ঞতার যুগের কবিদের কবিতার মধ্যে পাওয়া যায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যে, উমাইয়া ইবনে সালাতের কবিতার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সঃ) মন্তব্য করেনঃ “তার কবিতাগুলো তো ঈমান এনেছে। কিন্তু তার অন্তর কাফিরই রয়ে গেছে।”একজন সাহাবী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে উমাইয়ার একশটি কবিতা শুনিয়ে দেন। প্রত্যেকটি কবিতার পরেই তিনি বলেনঃ “আরো বলো।" সুনানে আবি দাউদে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “কতকগুলো বর্ণনা যাদুর মত কাজ করে আর কতকগুলো কবিতা হয় হিকমতে পরিপূর্ণ।”মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আমি রাসূল (সঃ)-কে কাব্য রচনা করতে শিখাইনি এবং এটা তার পক্ষে শোভনীয় নয়। এটা তো শুধু এক উপদেশ এবং সুস্পষ্ট কুরআন। যে ব্যক্তি এ সম্পর্কে সামান্য পরিমাণও চিন্তা করবে তার কাছেই এটা সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে। এটা এ জন্যেই যে, যেন তিনি দুনিয়ায় জীবিতাবস্থায় বিদ্যমান লোকদেরকে সতর্ক করতে পারেন। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যেন আমি এর দ্বারা তোমাদেরকে এবং যাদের কাছে এটা পৌঁছবে তাদেরকে সতর্ক করতে পারি।" (৬:১৯) মহামহিমান্বিত আল্লাহ আরো বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “দলসমূহের মধ্যে যারাই এটাকে মানবে না তারাই জাহান্নামের যোগ্য।”(১১:১৭) এই কুরআন এবং নবী (সঃ)-এর ফরমান তাদের জন্যে ক্রিয়াশীল ও ফলদায়ক হবে যাদের অন্তর জীবিত এবং ভিতর পরিষ্কার। যাদের জ্ঞান ও অন্তদৃষ্টি রয়েছে। আর শাস্তির কথা তো কাফিরদের উপর বাস্তবায়িত হয়েছে। অতএব, কুরআন কারীম মুমিনদের জন্যে রহমত স্বরূপ এবং কাফিরদের উপর হুজ্জত স্বরূপ।
দাঊদ (আঃ)-এর কাহিনী
তালূত ‘আমালেক্বা দখলদারদের হটিয়ে শামের শাসনকর্তার পদ লাভ করেন। অতঃপর দাঊদ কতদিন পরে নবী হন এবং তালূতের পরে কখন তিনি শাসনক্ষমতায় আসেন, এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায় না। তবে অন্যান্য নবীদের ন্যায় তিনি চল্লিশ বছর বয়সে নবুঅত লাভ করেন বলে আমরা ধরে নিতে পারে। তিনি শতায়ু ব্যক্তি ছিলেন এবং তাঁর পুত্র সন্তানের সংখ্যা ছিল ১৯ জন। তন্মধ্যে সুলায়মান (আঃ) নবুঅত ও শাসন ক্ষমতা উভয় দিক দিয়ে (নমল ২৭/১৬) পিতার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। আল্লাহ পিতা ও পুত্রকে অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করে সৃষ্টি করেছিলেন। আমরা কুরআন থেকে যা প্রাপ্ত হয়েছি সেটুকুই পেশ করব সত্যসন্ধানী পাঠকের জন্য। মনে রাখা আবশ্যক যে, কুরআন কোন গল্পগ্রন্থ নয়। মানুষের হেদায়াতের জন্য যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই মাত্র সেখানে পাওয়া যায়। বাকী তথ্যাবলীর উৎস হ’ল ইস্রাঈলী বর্ণনা সমূহ, যার কোন নির্ভরযোগ্য ভিত্তি নেই। বরং সেখানে অন্যান্য নবীগণের ন্যায় দাঊদ ও সুলায়মানের চরিত্রকে মসীলিপ্ত করা হয়েছে। আর সেইসব নোংরা কাহিনীকে ভিত্তি করে আরবী, উর্দূ, ফার্সী এমনকি বাংলা ভাষায়ও লিখিত হয়েছে ‘নবীদের কাহিনী’ নামে বহু বাজে বই-পুস্তিকা। নবীগণের নিষ্পাপত্বে বিশ্বাসী ঈমানদার পাঠকগণ ঐসব বইপত্র থেকে দূরে থাকবেন, এটাই আমরা একান্তভাবে কামনা করব। বরং আমাদের পরামর্শ থাকবে, ঐসব উদ্ভট ও নোংরা গল্পগুজবে ভরা তথাকথিত ধর্মীয় (?) বই-পত্র আগুনে পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিন। তাতে নিজের ও পরিবারের এবং অন্যদের ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বেঁচে যাবে।
দাঊদ (আঃ)-এর বৈশিষ্ট্য সমূহ
আল্লাহ প্রত্যেক নবীকে স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য দান করেছেন। সেমতে দাঊদ (আঃ)-কে প্রদত্ত বৈশিষ্ট্য সমূহ নিম্নে বিবৃত হ’ল।-
১. আল্লাহ দাঊদ (আঃ)-কে আধ্যাত্মিক ও দৈহিক শক্তিতে বলিয়ান করে সৃষ্টি করেছিলেন। যেমন আল্লাহ বলেন,
وَاذْكُرْ عَبْدَنَا دَاوُودَ ذَا الْأَيْدِ إِنَّهُ أَوَّابٌ-(ص ১৭)- ‘স্মরণ কর, আমার বান্দা দাঊদকে। সে ছিল শক্তিশালী এবং আমার প্রতি সদা প্রত্যাবর্তনশীল’ (ছোয়াদ ৩৮/১৭)। আয়াতের প্রথমাংশে তাঁর দৈহিক ও দুনিয়াবী শাসন শক্তির কথা বলা হয়েছে এবং শেষাংশে তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তির কথা বলা হয়েছে। এজন্য যে, বিরাট ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী বাদশাহ হওয়া সত্ত্বেও তিনি সর্বদা আল্লাহর প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। সকল কাজে তাঁর দিকেই ফিরে যেতেন।
২. পাহাড় ও পক্ষীকুল তাঁর অনুগত ছিল। যেমন আল্লাহ বলেন,إِنَّا سَخَّرْنَا الْجِبَالَ مَعَهُ يُسَبِّحْنَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِشْرَاقِ- وَالطَّيْرَ مَحْشُوْرَةً، كُلٌّ لَّهُ أَوَّابٌ-(ص ১৮-১৯)-
‘আমরা পর্বতমালাকে তার অনুগত করে দিয়েছিলাম। তারা সকাল-সন্ধ্যায় তার সাথে পবিত্রতা বর্ণনা করত’। ‘আর পক্ষীকুলকেও, যারা তার কাছে সমবেত হ’ত। সবাই ছিল তার প্রতি প্রত্যাবর্তনশীল’ (ছোয়াদ ৩৮/১৮-১৯)। একই মর্মে বক্তব্য এসেছে সূরা সাবা ১০ আয়াতে। অন্যদিকে আল্লাহ দাঊদ-পুত্র সুলায়মানের অধীনস্ত করে দিয়েছিলেন বায়ুকে ও জিনকে। পাহাড় ও পক্ষীকুল হযরত দাঊদ (আঃ)-এর কিভাবে আনুগত্য করত- সে বিষয়ে কোন বক্তব্য কুরআনে আসেনি। তাফসীরবিদগণ নানাবিধ সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছেন। আমরা সেগুলিকে এড়িয়ে গেলাম।
৩, ৪ ও ৫. তাঁকে দেওয়া হয়েছিল সুদৃঢ় সাম্রাজ্য, গভীর প্রজ্ঞা ও অনন্য বাগ্মিতা। যেমন আল্লাহ বলেন,
وَشَدَدْنَا مُلْكَهُ وَآتَيْنَاهُ الْحِكْمَةَ وَفَصْلَ الْخِطَابِ-(ص ২০)- ‘আমরা তার সাম্রাজ্যকে সুদৃঢ় করেছিলাম এবং তাকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও ফায়ছালাকারী বাগ্মিতা’ (ছোয়াদ ৩৮/২০)। পূর্বেই আমরা বলেছি যে, তাঁর এই সাম্রাজ্য ছিল শাম ও ইরাক ব্যাপী। যা আধুনিক সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান, ফিলিস্তীন ও ইরাককে শামিল করে। আল্লাহ বলেন,
يَا دَاوُودُ إِنَّا جَعَلْنَاكَ خَلِيْفَةً فِي الْأَرْضِ فَاحْكُمْ بَيْنَ النَّاسِ بِالْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعِ الْهَوَى فَيُضِلَّكَ عَنْ سَبِيْلِ اللهِ إِنَّ الَّذِيْنَ يَضِلُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيْدٌ بِمَا نَسُوْا يَوْمَ الْحِسَابِ-(ص ২৬)-
‘হে দাঊদ! আমরা তোমাকে পৃথিবীতে খলীফা করেছি। অতএব তুমি মানুষের মাঝে ন্যায়সঙ্গত ফায়ছালা কর এবং খেয়াল-খুশীর অনুসরণ কর না। তাহ’লে তা তোমাকে আল্লাহর পথ হ’তে বিচ্যুত করবে। নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর পথ হ’তে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি এ কারণে যে, তারা হিসাব দিবসকে ভুলে যায়’ (ছোয়াদ ৩৮/২৬)।
৬. লোহাকে আল্লাহ তাঁর জন্য নরম করে দিয়েছিলেন। যেমন আল্লাহ বলেন,
وَلَقَدْ آتَيْنَا دَاوُودَ مِنَّا فَضْلاً يَا جِبَالُ أَوِّبِيْ مَعَهُ وَالطَّيْرَ وَأَلَنَّا لَهُ الْحَدِيْدَ- أَنِ اعْمَلْ سَابِغَاتٍ وَقَدِّرْ فِي السَّرْدِ وَاعْمَلُوْا صَالِحاً إِنِّيْ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ- (سبا ১০-১১)-
‘...এবং আমরা তার জন্য লোহাকে নরম করে দিয়েছিলাম’ ‘এবং তাকে বলেছিলাম প্রশস্ত বর্ম তৈরী কর ও কড়াসমূহ যথাযথভাবে সংযুক্ত কর এবং তোমরা সৎকর্ম সম্পাদন কর। তোমরা যা কিছু কর, তা আমরা দেখে থাকি’ (সাবা ৩৪/১০-১১)।
উল্লেখ্য যে, হযরত দাঊদ (আঃ) একজন দক্ষ কর্মকার ছিলেন। বিশেষ করে শত্রুর মোকাবিলার জন্য উন্নত মানের বর্ম নির্মাণে তিনি ছিলেন একজন কুশলী কারিগর। যা বিক্রি করে তিনি সংসার যাত্রা নির্বাহ করতেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নিজের ভরণপোষণের জন্য কিছুই নিতেন না। যদিও সেটা নেওয়া কোন দোষের ছিল না। এখানে লোহাকে বাস্তবে মোমের মত নরম করার প্রকাশ্য অর্থ নিলে সেটা হবে তাঁর জন্য মু‘জেযা স্বরূপ, যা মোটেই অসম্ভব নয়। অবশ্য নরম করে দেওয়ার অর্থ লোহাকে সহজে ইচ্ছামত রূপ দেওয়ার ও উন্নতমানের নির্মাণ কৌশল শিক্ষাদানও হ’তে পারে। যেমন অন্যত্র আল্লাহ বলেন,
وَعَلَّمْنَاهُ صَنْعَةَ لَبُوْسٍ لَّكُمْ لِتُحْصِنَكُمْ مِّنْ بَأْسِكُمْ فَهَلْ أَنْتُمْ شَاكِرُوْنَ-(الأنبياء ৮০)-
‘আর আমরা তাকে তোমাদের জন্য বর্ম নির্মাণ কৌশল শিক্ষা দিয়েছিলাম, যাতে তা যুদ্ধের সময় তোমাদেরকে রক্ষা করে। অতএব তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে? (আম্বিয়া ২১/৮০)।
ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, ভারতবর্ষের বাদশাহ আওরঙ্গযেব (১৬৫৮-১৭০৭ খৃ:) নিজ হাতে টুপী সেলাই করে তা বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কিছুই নিতেন না। বস্ত্ততঃ নবী-রাসূলগণই ছিলেন সকল উন্নত চরিত্রের পথিকৃৎ।
৭. আল্লাহ পাক দাঊদকে নবুঅত দান করেন এবং তাকে এলাহী কিতাব ‘যবূর’ দান করে কিতাবধারী রাসূলের মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন। যেমন তিনি বলেন, -وَآتَيْنَا دَاوُودَ زَبُوْراً ‘আমরা দাঊদকে ‘যবূর’ প্রদান করেছিলাম’ (নিসা ৪/১৬৩)। হযরত দাঊদকে যে আল্লাহ অতুলনীয় সাম্রাজ্য দান করছিলেন, সেটা যেন যবূরের ভবিষ্যদ্বাণীরই বাস্তব রূপ। কেননা যবূরে আল্লাহ তাঁর সৎকর্মশীল বান্দাদেরকে পৃথিবীর অধিকারী হওয়ার সুসংবাদ দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ বলেন,
وَلَقَدْ كَتَبْنَا فِي الزَّبُوْرِ مِنْ بَعْدِ الذِّكْرِ أَنَّ الْأَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِيَ الصَّالِحُوْنَ-(الأنبياء ১০৫)-
‘আমরা বিভিন্ন উপদেশের পর যবূরে একথা লিখে দিয়েছি যে, আমার সৎকর্মশীল বান্দাগণ অবশেষে পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবে’ (আম্বিয়া ২১/১০৫)।
৮. তাঁকে অপূর্ব সুমধুর কণ্ঠস্বর দান করা হয়েছিল। যখন তিনি যবূর তেলাওয়াত করতেন, তখন কেবল মানুষ নয়, পাহাড় ও পক্ষীকুল পর্যন্ত তা একমনে শুনত। এ দিকে ইঙ্গিত করেই আল্লাহ বলেন,
وَلَقَدْ آتَيْنَا دَاوُودَ مِنَّا فَضْلاً يَا جِبَالُ أَوِّبِيْ مَعَهُ وَالطَّيْرَ وَأَلَنَّا لَهُ الْحَدِيْدَ- (سبا ১০)-
‘আমরা দাঊদের প্রতি আমাদের পক্ষ হ’তে অনুগ্রহ প্রদান করেছিলাম এই মর্মে আদেশ দান করে যে, হে পর্বতমালা! তোমরা দাঊদের সাথে বারবার তাসবীহ সমূহ আবৃত্তি কর এবং (একই নির্দেশ দিয়েছিলাম আমরা) পক্ষীকুলকেও ...’ (সাবা ৩৪/১০)। এ বিষয়টি আল্লাহ অন্যত্র বলেন এভাবে,
وَسَخَّرْنَا مَعَ دَاوُودَ الْجِبَالَ يُسَبِّحْنَ وَالطَّيْرَ وَكُنَّا فَاعِلِيْنَ-(الأنبياء ৭৯)-
‘আমরা পাহাড়কে ও পক্ষীকুলকে দাঊদের অনুগত করে দিয়েছিলাম, তারা তাসবীহ পাঠ করত এবং আমরা এটা করে থাকি’ (আম্বিয়া ২১/৭৯)।